মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩, ০৪:০২ অপরাহ্ন
আমরা সব ধরনের গন্ধ বুঝি নাক দিয়ে। মানুষের শরীরের পঞ্চইন্দ্রিয়ের একটি নাক। মুখের সৌন্দর্যের জন্যও নাক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। কিন্তু নাক দিয়ে আমরা গন্ধ পাই কীভাবে? আমাদের নাক দু’টি হাড় দিয়ে তৈরি। হাড় দু’টি এক ধরনের সেতু তৈরি করে। নাকের ভিতরে আছে এক ধরনের তরুণাস্থি বা নরম হাড়। এটা দেয়ালের মতো নাকের দুই ছিদ্রের মাঝে অবস্থান করে। আর নাকের ছিদ্রের দুই অংশকে বলা হয় নাসারন্ধ্র।
নাসারন্ধ্রের প্রান্তের দিকে শ্লৈষ্মিক ঝিল্লি বলে একটি পাতলা পর্দা থাকে। এর থেকে এক প্রকার তরল নিঃসৃত হয়ে নাককে সব সময় ভেজা রাখে। নাসারন্ধ্রের প্রান্তে থাকে দু’টি ঘ্রাণ সংক্রান্ত স্নায়ু। তাতে আবার থাকে কোষ। সেই কোষের মাধ্যমেই আমরা গন্ধ পাই। এই কোষগুলোকে বলা হয় গ্রাহক। আমরা যখন কোনো কিছুর গন্ধ শুকি তখন সেই বস্তু থেকে আসা পদার্থ কণা নাসারন্ধ্র পথে উক্ত সংবেদনশীল জায়গায় গিয়ে পৌঁছে। সেখানকার স্নায়ুতে তখন এক প্রকার বৈদ্যুতিক ধাক্কা সৃষ্টি করে। ওই বৈদ্যুতিক ধাক্কার সংবাদ যখন মস্তিষ্কের ঘাণ কেন্দ্রে পৌঁছায় তখনই আমরা গন্ধ বুঝতে পারি।
আমাদের সর্দি লাগলে এই অনুভূতিপ্রবণ কোষগুলো ঢাকা পড়ে যায়। তখন কোনো কিছুর গন্ধ আমরা বুঝতে পারি না।