শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:৩৭ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম:
সাবেক মন্ত্রী শাহজাহান কামাল এমপি আর নেই বই কেনার জন্য মাইর খাওয়া! – মেহেনাজ সুলতানা যদি রেকর্ড করে শোনাতে পারতাম-ফারহানা আক্তার দৃষ্টি সাউথ এশিয়া গোল্ডেন পিস এ্যাওয়ার্ড-২০২১ পেলেন শাম্মী তুলতুল লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজে শেখ রাসেল দেয়ালিকা উদ্বোধন লক্ষ্মীপুরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ও ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী আব্দুল মতলব’র ব্যাপক গণসংযোগ রায়পুরে বেদে ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের মাঝে ১৫ লাখ টাকার চেক বিতরণ রায়পুরে নবনির্মিত শহীদ মিনার উদ্বোধন করলেন নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন এমপি রায়পুর উপজেলা ডিজিটাল সেন্টার উদ্বোধন করেন এড. নয়ন এমপি

আম গাছের মগডালে ৭ যুবক

আন্তর্জাতিক ডেক্স / ১১০১ পড়া হয়েছে:
প্রকাশের সময়: শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:৩৭ পূর্বাহ্ন

করোনাভাইরাস বিস্তার ঠেকাতে কয়েকদিন আগে ২১ দিনের জন্য পুরো ভারত লকডাউন করা হয়েছে। এর মধ্যেই সাত যুবক চেন্নাই থেকে পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়ার বলরামপুরের ভাঙিডিতে নিজ গ্রামে ফেরেন। সতর্ক গ্রামবাসী তাদের হাসপাতালে পাঠান। চিকিৎসকরা তাদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে পরামর্শ দেন। মাটির বাড়িতে থাকার ঘর নেই। ফলে আম গাছের মগ ডালে মাচা করে তৈরি করা হল কোয়ারেন্টিন। গত কয়েকদিন ধরে সেই মাচাতেই বাস করছেন চেন্নাইফেরত যুবকরা। এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
বাঁশ ও কাঠ দিয়ে মাটি থেকে প্রায় ৮-১০ ফুট উচ্চতায় আমগাছে তৈরি করা হয়েছে মাচা। প্লাস্টিক ও মশারি দিয়ে মাচার চারপাশ ঢেকে দেয়া হয়েছে। মোবাইল সচল রাখতে সেই মাচাতেই রয়েছে বিদ্যুতের পয়েন্ট। মাচায় থেকেও তারা সতর্কতা হিসেবে মুখে সব সময় মাস্ক পরে রয়েছেন। নিজেদের জামাকাপড় নিজেরাই পরিষ্কার করছেন।
চেন্নাইফেরত বিজয় সিং লায়া গণমাধ্যমকে বলেন, ‘গাছেই দিনের বেশিরভাগ সময় কাটাচ্ছি। খাবার নেয়া বা অন্য প্রয়োজন ছাড়া নিচে নামছি না। সংক্রমণ যাতে না ছড়িয়ে পড়ে তার জন্যই এই পদক্ষেপ। এতে, গ্রামবাসীরাও খুশি।’ গাছে কোয়ারেন্টিনে থাকা আরেক যুবক বিমল সিং সর্দার বলেন, আমরা প্রথমে বলারামপুর পুলিশ স্টেশনে যাই। সেখানে থাকা কর্মকর্তা আমাদের কথা শুনে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠান। চিকিৎকরা আমাদের নাম ও মোবাইল নাম্বার লিখে রাখেন। তারা আমাদের ১৪ দিনের জন্য আইসোলেশনে থাকতে বলেন।
তিনি আরও বলেন, যখন আমরা গ্রামে ঢুকি তখন গ্রামবাসী আমাদের আটকায়। তারা আমাদের কোনোরকম সুযোগ না দিয়ে গ্রামের পাশেই একটি আমগাছে আমাদের থাকার ব্যবস্থা করে।
ভাঙিডি গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, ‘অন্যদের যাতে ভাইরাস আক্রান্ত করতে না পারে তাই তাদের আলাদা রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাড়িতে ঘর নেই। তাই এই বিকল্প পদ্ধতিতে রাখা হয়েছে। তবে, প্রয়োজনীয় সবকিছু সেখানে আমরা দিয়ে আসছি।’
প্রশাসন আইসোলেশনের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করবে বলে আশা গ্রামবাসীর। কোয়ারেন্টিনে থাকা দীনবন্ধু সিং সর্দার বলেন, ‘আমাদের খাবার আলাদা থালা, কাপড় ধোয়ার সাবান গ্রামবাসীই দিচ্ছেন।’ রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়নমন্ত্রী বলরামপুরের বিধায়ক শান্তিরাম মাহাতো বলেন, ‘অযোধ্যা পাহাড়ের কাছে এই ধরনের ব্যবস্থা চালু আছে। হাতি তাড়াতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়। আমি সাত যুবকের ফেরার কথা শুনেছি। দেখা যাক কী করতে পারি।’

Print Friendly, PDF & Email