দীর্ঘ ৭৮৭ দিন পর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে বাসায় ফিরেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এখন থেকে দলীয় প্রয়োজনে যতটুকু সময় দরকার ততটুকু সময় কার্যালয়ে থাকবেন তিনি। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় রায়ের দিন ধার্য করেছিলেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত। সেদিন আদালত খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের সাজা দিলে পুরনো ঢাকার সাবেক পরিত্যক্ত কেন্দ্রীয় কারাগারে একমাত্র বন্দি হিসেবে খালেদা জিয়াকে রাখা হয়।রায় ঘোষণার আগে থেকেই বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছিল।

২০১৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি গুলশানে নিজ কার্যালয়ে সর্বশেষ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বেগম খালেদা জিয়া। এহেন পরিস্থিতিতে বেগম খালেদা জিয়ার রায়কে ঘিরে শঙ্কা তৈরি হলে রিজভী নিজ থেকে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন যে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত তিনি দলীয় কার্যালয়েই অবস্থান নেবেন।সে বছর ৩০ জানুয়ারি নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের তৃতীয় তলায় ছোট একটি রুমে (সাড়ে ৪ বাই সাড়ে ৯ ফুট) কক্ষে রাত্রিযাপন করে আসছিলেন রিজভী। সেখানে নিয়মিত দলীয় নেতাকর্মীরা তার সাথে কুশল বিনিময় ও প্রয়োজনীয় কাজের জন্য যাতায়াত করতেন। কাজের প্রয়োজনে বের হয়েছেন। কাজ শেষ হলে কার্যালয়ে ফিরে এসেছেন। এরইমধ্যে গড়িয়েছে বহু সময়। একে একে ৭৮৭ দিন পার হলো।

অবশেষে শর্ত সাপেক্ষে সরকারের নির্বাহী আদেশে গত ২৫ মার্চ বিএনপি’র চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ৬ মাসের জন্য সাজা স্থগিত রেখে মুক্তি দেয়া হয়। এরপরই রুহুল কবির রিজভী সিদ্ধান্ত নেন দলীয় কার্যালয় ছেড়ে বাসায় যাবেন।এ সিদ্ধান্তের পর আজ ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের নয়া পল্টনের দলীয় কার্যালয় ছেড়ে রাজধানীর ভাড়া বাসায় যান তিনি। দলীয় কার্যালয় ছেড়ে যাওয়ার সময় কার্যালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারীরা তাকে বিদায় জানান। তারা রিজভীর জন্য বিশেষভাবে দোয়া ও শুভকামনা করেন।