
স্টাফ রিপোর্টার॥
জেলার কমলনগর উপজেলা প্রাণিসম্পদ হাসপাতালে বিশেষ প্রকল্পে নাগরিক সনদ জাল করে আইন ভঙ্গ করে চাকুরী করার অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে তোরাবগঞ্জ ও হাজিরহাট ইউনিয়ন ছাড়া ৭টি ইউনিয়নে স্ব স্ব এলাকার বাসিন্ধাদের এ প্রকল্পের লোক নিয়োগ দেওয়ার কথা। অথচ সাহেবেরহাট ইউনিয়নে চাকরি করেন চরফলকন জাজিরার আবুতাহেরের ছেলে মো. মহিউদ্দিন ও একই কায়দায় চরকাদিরা ইউনিয়নে করেন হাজিরহাট ইউনিয়নের আন্দারঘর এলাকার মো.হাবিব। তারা দুজনেই ইউনিয়ন পরিষদের নাগরিক সনদ জাল করেছেন। এতে চাকরি বঞ্চিতদের মাঝে হতাশা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
চাকরি বঞ্চিতরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, স্থানীয় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ আক্তারুজ্জামানের দায়িত্বহীনতায় ও গোপন বাণিজ্যের জেরে এই কাজ ঘটেছে। এছাড়া পাটারীরহাট ইউনিয়নের মো.মিরাজ হোসেন অল্প শিক্ষাই চাকরি করেন ওই ইউনিয়নে। অথচ ইউনিয়নটিতে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শত শত শিক্ষিত বেকার লোক স্থান পায়নি ওই পদে। যাহা প্রকল্পের নিয়োগ প্রক্রিয়ার পরিপন্থী ছাড়া কিছুই নয়। শুরুতেই গলদ! ফলে গ্রামের মানুষের হাঁস-মুরগি ও গবাধি পশুর সুচিকিৎসা অনিশ্চিত বলে ক্ষোভ প্রকাশ তারা।
কমলনগর উপজেলা প্রাণিসম্পাদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ আক্তারুজ্জামান জানান, উক্ত প্রকল্পের লোক নিয়োগের বিষয়টি জেলা কর্মকর্তাদের নিয়মে হয়েছে। এ নিয়োগের ব্যাপারে আমার কোন হাত নেই বলে তিনি জানান।