শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:৩৩ পূর্বাহ্ন
লকডাউন, হোম কোয়ারান্টাইন সবই ঠিক আছে । কিন্তু এদিকে এইচএসসি পরীক্ষার রুটিনটা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দিব্যি হাডুডু খেলছে।
হা-রে -রে-রে প্রস্তুতি নিয়ে পরিক্ষার্থীরা যখন ১ সপ্তাহ আগে শুনে পরীক্ষা ঈদের পর হবে, তাদের কাছে ব্যাপার টা শ্বাপেবর এর মতোই ছিল। অপর দিকে সময় বাড়ার সাথে সাথে তাদের কাছে সবকিছু অকূল পাথার। পরীক্ষার চিন্তা + করোনের চিন্তা =(দুশ্চিন্তা) স্কয়ার হয়ে গেছে। দেখা যাচ্ছে পরীক্ষা পিছানোর পর শিক্ষার্থীদের একঘেয়েমি, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, ইমো, ইউটিউব এবং সামাজিক যোগাযোগ সাইটে অধিক সময় দেয়ার প্রবণতা অনেক বেশি।
আহা!! ব্যাপারটা হলো শিক্ষার্থীরা পড়েছে উভয় সংকটে। করোনার মধ্যে পরীক্ষা দেয়া টা যেমন প্রাণঘাতী তেমনি ১ মাস পর পরীক্ষা দেয়াটা মনঘাতি।কারণ সবকিছু চর্চার অভাবে ভুলে যাচ্ছে তারা।
এমন একটা সময়ে কারো মন ও ভালো নেই যে অধ্যয়ন করবে, চারিদিকে যে মৃত্যুপুরী পড়ার টেবিলে বসলে তাদের মনে কালোমেঘ পাড়ি দেয়। পরীক্ষা পিছানোটা এখন মিছরির ছুরি। সামাজিক যোগাযোগ সাইটে থাকলে আপডেট তথ্য পাওয়া যায় এবং কিছুটা সময় কাটানো যায়।
কিন্তু এভাবে আর কতো?? মহামারী করোনা ভাইরাস সারা বিশ্বকেই এক মৃত্যুপুরীতে ঠেলে দিচ্ছে। যার গ্রাসে পড়ার টেবিলে মনই বসছেনা। তবে প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও সরকার টেলিভিশনের মাধ্যমে ক্লাসের সুযোগ করে দিয়েছে এতে একটু হলেও শিক্ষার্থীদের উপকারে আসবে।
শিক্ষার্থীদের মনে এখন একটা প্রশ্ন – ” “পরীক্ষা হবে কতো দিনে আমার মন বসে দিনগুনে” আশাকরি সৃষ্টিকর্তা সবকিছু আগের মতো করে দিবেন। আবার সূর্যের সোনালী রোদে শিক্ষার্থীরা কাকলীতে ভরাবে বিদ্যাপীঠ, মুখরিত হবে প্রাঙ্গন,,উজ্জ্বল হবে দেশমাতৃকার অঙ্গন।