শনিবার, ০৩ জুন ২০২৩, ০৩:৩৫ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার ॥
নোভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে সিভিল প্রশাসনের সাথে প্রথমবারের মত লক্ষ্মীপুরে সেনাবাহিনীর টহল অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে কুমিল্লা সেনানিবাস থেকে লক্ষ্মীপুরে পৌঁছায় সেনাবাহিনীর এ দলটি। সেনা বাহিনী মাইকিং করে সতর্ক করছে। জরুরি প্রয়োজনে মাস্ক ছাড়া ও বিনা কারণে ঘোরাঘুরি করলে ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দেন তারা।
২৭ মার্চ শুক্রবার নিয়মিত টহলের অংশ হিসেবে রায়পুর উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রাজীব হোসেন ও শারমীন সুমির নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় সেনাবাহিনীর টহলের খবর পেয়ে বিভিন্ন হাটবাজার ও উপজেলা সড়কগুলো জনশূন্য হয়ে পড়ে।
পাশাপাশি পুলিশ বাহিনীও জেলার বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে সতর্ক করছে জনসাধারণকে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া জনসাধারণকে রাস্তায় বের না হওয়ার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাবরিন চৌধুরীর নির্দেশনায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যদের নিয়ে টহল পরিচালনা করা হয়। বাসাবাড়ি বাজার, বাবুরহাট বাজার, মধ্য বাজার, খাসেরহাট বাজার, হায়দরগঞ্জ বাজার ও মিতালি বাজারসহ উপজেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়নে টহল দেওয়া হয়েছে। এসময় তারা জনগণকে সতর্ক করে, প্রয়োজন ছাড়া বাসা-বাড়ি থেকে বের না হওয়ার জন্য মাইকিং করে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পণ্যবাহী ট্রাকছাড়া মোটরসাইকেলসহ সকল ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ। ওষুধের ফার্মেসি, মুদি ও কাঁচা পণ্যের দোকান ছাড়া চায়ের দোকানসহ অন্যসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। এরমধ্যে মুদি ও কাঁচা পণ্যের দোকান সন্ধ্যা ৬টার আগে বন্ধের নির্দেশনায় জেলাব্যাপী মাইকিং করে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, লক্ষ্মীপুর শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত হোমকোয়ারেন্টাইনের তালিকায় ১ হাজার ২১১ জন ছিলেন। এদের মধ্যে কোয়ারেন্টাইনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় ৬১৪ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এদিকে এখনো পর্যন্ত বিদেশফেরত ব্যক্তি এবং কাশি, জ্বর ও সর্দির সমস্যা থাকায় চারজনকে সোয়াব পরীক্ষার জন্য আইইডিসিআর’এ পাঠানো হয়েছে। এরমধ্যে তিনজন করোনা আক্রান্ত নন, বাকি একজনের ফলাফল এখনো আসেনি।
লক্ষ্মীপুর জেলা সিভিল সার্জন আবদুল গাফ্ফার বলেন, এখনো পর্যন্ত জেলায় কোন করোনা রোগী শণাক্ত হয়নি। এছাড়া সঙ্গরোধ নিশ্চিত করতে ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর টহল চলছে। হোমকোরেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদেরকে স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীদের দিয়ে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।