মাদারীপুরের কালকিনি পৌর মেয়র মো. এনায়েত হোসেন হাওলাদারের বিরুদ্ধে হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দ ৭ মেট্রিকটন সরকারি চাল আত্মসাতের অভিযোগ তুলেছেন সংশ্লিষ্ট বর্তমান সময়ের কাউন্সিলরেরা।
ওই পৌরসভার আটজন কাউন্সিলর বৃহস্পতিবার বিকালে জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম কে বরাবর মেয়রের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তারা। তবে মেয়রের এনায়েতের হোসেনের দাবি, পূর্বের শত্রুতার জেরে এই অভিযোগ আনা হয়েছে।
অভিযোগে সুত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের ত্রাণ শাখা থেকে কালকিনি পৌরসভার হতদরিদ্রদের জন্য ৪ কিস্তিতে ৭ মেট্রিকটন জিআর চাল ও নগদ অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়। সেই চাল ও অর্থ মেয়র কাউন্সিলরদের না জানিয়ে উত্তোলন করেন। ওই চাল কোথায় বিতরণ করেছেন তারও কোনো হদিসও মিলছে না। ফলে পৌরসভার হতদরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষ সরকারের ত্রাণ সহায়তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। মেয়র ওই চাল ও অর্থ আত্মসাৎ করেছেন অভিযোগ করে বিষয়টি দ্রুত তদন্ত য়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি জানান পৌর কাউন্সিলররা।
অভিযোগকারীদের মধ্যে- কালকিনি পৌরসভার ১, ২, ৩, ৫, ৭, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং ১, ২, ৩ ও ৭, ৮, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের মহিলা কাউন্সিলর রয়েছে
এ বিষয়ে কালকিনি উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, প্রশাসকের কার্যালয় থেকে বরাদ্দকৃত ৬ হাজার ৯৮৫ কেজি (সাত মেট্রিকটন) জিআর চাল বিভিন্ন তারিখে কালকিনি পৌরসভা কর্তৃপক্ষ উত্তোলন করেছে।
কাউন্সিলরদের অভিযোগের বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, “তদন্ত করা হচ্ছে। গরীবের চাল আত্মসাতের ঘটনা ঘটলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবেনা। এটা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ রয়েছে। এছাড়া স্থানীয় সরকার অধিদপ্তরেরও বিষয়টি অবগত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কালকিনি পৌরসভার মেয়র এনায়েত হোসেন হাওলাদার সাংবাদিকদের বলেন, “সাড়ে ৬ মেট্রিকটন চাল পাওয়া গেছে। এসব চাল পৌরসভার হতদরিদ্রদের মাঝে বন্টন করা হয়েছে। প্রত্যেকের ভোটার আইডি কার্ড, মোবাইল নাম্বারসহ তালিকা পৌরসভা কর্তৃপক্ষের কাছে রয়েছে।
তাহলে কেন কাউন্সিলররা এ অভিযোগ করলেন? জানতে চাইলে মেয়র বলেন, “পূর্বের শত্রুতা করে এই অভিযোগ আনা হয়েছে। পৌরসভা থেকে চাল বিতরণ সংক্রান্ত মিটিং- এ তাদের ডাকা হলেও অভিযোগকারী কাউন্সিলরা কেউ আসেন নি। পুরোপুরি স্বচ্ছতার সঙ্গে বরাদ্দকৃত চাল বিতরণ করা হয়েছে, এখানে কোনো দুর্নীতি হয়নি।
ইব্রাহিম রহমান অন্ত ,মাদারীপুর