শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:১৫ পূর্বাহ্ন
করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের আইসোলেশনে থাকা সুলতান শেখ (৭০) নামে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
রোববার সকাল সোয়া ৯টায় কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এর আগে শুক্রবার তিনি যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার জন্য খুমেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটের আইসোলেশনে ভর্তি হন। মৃত সুলতান শেখ নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার আবদুল গফুর শেখের পুত্র।
বিষয়টি নিশ্চিত করে খুমেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটের ইনচার্জ ডাক্তার শৈলেন্দ্র নাথ বিশ্বাস জানিয়েছেন, মৃত সুলতান শেখ করোনা ইউনিটে ভর্তি থাকলেও তিনি যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত ছিলেন। বিষয়টি ঢাকায় আইইডিসিআর কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। তারা জানিয়েছে তার নমুনা পরীক্ষার প্রয়োজন নেই। সে কারণে তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
খুলনার সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদও জানিয়েছেন, মৃত সুলতান শেখ যক্ষ্মা রোগী ছিলেন। প্রসঙ্গত, এর আগেও খুমেক হাসপাতালে মুস্তাহিদুর রহমান নামে এক রোগী মারা যান। তার করোনা উপসর্গ থাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। রোগীরা হাসপাতাল ত্যাগ করে। কিন্তু পরবর্তীকালে স্যাম্পল পরীক্ষায় তিনি করোনা আক্রান্ত ছিলেন না বলে রিপোর্ট আসে। এ দিকে খুলনা ডায়াবেটিক হাসপাতালে করোনা আইসোলেশন ইউনিট চালুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এ হাসপাতালের তৃতীয় তলায় ৫০ বেড চালু করা হবে। আগামী সপ্তাহ থেকেই খুলনায় করোনা শনাক্তকরণ করতে পারবেন সন্দেহভাজন রোগীরা। এ ছাড়া কোয়ারেন্টিনের জন্য খুলনার তিনটি আবাসিক হোটেলকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এটিএম মঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, খুমেক হাসপাতালে ফ্লু কর্নার চালু করা হয়েছে। করোনা আইসোলেশন ইউনিট হাসপাতালে থাকবে না। ফ্লু কর্নার থেকে কোনো রোগীকে করোনাভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহ হলে তাকে খুলনা ডায়াবেটিক হাসপাতালে রেফার্ড করা হবে। এ ছাড়া হাসপাতালে আগের মতোই বিশেষ করে ইমারজেন্সি রোগীদের ভর্তি ও সেবা দেয়া হবে।]
খুলনার সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহম্মেদ বলেন, খুলনা নগরীর তিনটি আবাসিক হোটেলকে কোয়ারেন্টিনের জন্য চূড়ান্ত করা হয়েছে। হোটেলগুলো হচ্ছে হোটেল রয়েল, ডি এস প্যালেস ও হোটেল অ্যাম্বাসেডর। এর মধ্যে চিকিৎসকদের জন্য হোটেল রয়েল নির্ধারণ করা হয়েছে। বাকি দুটি সাধারণ মানুষের জন্য।
খুলনা স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ)সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. মো. মেহেদী নেওয়াজ বলেন, আগামী সপ্তাহ থেকে খুলনা থেকেই করোনার সব পরীক্ষা করানো সম্ভব হবে। এ ছাড়া করোনা চিকিৎসায় যে সব ডাক্তার সংস্পর্শে আসবেন তাদের শারীরিক কোনো সমস্যা হলে তাদের কোয়ারেন্টিনে হোটেলে রাখা হবে।
খুলনা ডায়াবেটিক হাসপাতালরে চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. মো. আবদুস সবুর বলেন, তাদের হাসপাতালের তৃতীয় তলা করোনা আইসোলেশন ইউনিট করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। আগামী ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ডায়াবেটিক হাসপাতালে রোগী দেখা বন্ধ রয়েছে। করোনা আইসোলেশন চালু হলে এ সব রোগী নগরীর ধর্মসভা রোডস্থ ডায়াবেটিক সমিতির কার্যালয়ে চিকিৎসা দেয়া হবে।
-ল/আলো-ডেক্স নিউজ