শনিবার, ০৩ জুন ২০২৩, ০৩:৪২ পূর্বাহ্ন
করোনাভাইরাসের কারণে শ্রমিকের অভাবে ধান কাটতে পারছিলেন না কৃষক মো. আব্দুর রহিম। খবর পেয়ে চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়কদের নেতৃত্বে ১৫ জন নেতা-কর্মী মিলে প্রায় দুই কানি জমির ধান কেটে দেন ওই কৃষকের। বুধবার (২২ এপ্রিল) সকালে ইউনিয়নের পশ্চিম লতিফপুর গ্রামে স্বেচ্ছাশ্রমে এ ধান কাটেন তারা। এতে কৃষক মো. আব্দুর রহিম উচ্ছ্বসিত হয়ে যুবলীগ নেতা-কর্মীদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
স্বেচ্ছাশ্রমে এ ধানকাটায় অংশ নেন- ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক মো. সাহাবুদ্দিন, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক রিংকু, যুগ্ম আহ্বায়ক ফখরুল আলম পারভেজ, ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য শেখ রাসেল, জহির উদ্দিন মোহন ও দাউদ ইব্রাহিমসহ অন্যান্যরা।
কৃষক মো. রহিম বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে লক্ষ্মীপুরে লকডাউন থাকায় কৃষি শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। ক্ষেতে ধান পাকলেও সে ধানকাটার জন্য লোক পাওয়া যাচ্ছে না। কীভাবে ধান কাটবো খুব চিন্তায় ছিলাম। অন্যদিকে অর্থের অভাবে ধানকাটা শ্রমিকও আনতে পারছিলাম না। তিনি বলেন, শ্রমিকের অভাবে ধান নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় ছিলাম। পরে খবর পেয়ে চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা সাহাবুদ্দিন, রিংকু ও পারভেজ ভাইর নেতৃত্বে ১৫জন মিলে আমার ধান কেটে দেওয়ায় দুশ্চিন্তা থেকে রক্ষা পাই।
চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, লক্ষ্মীপুর জেলা যুবলীগের সংগ্রামী সভাপতি একেএম সালাহ্ উদ্দিন টিপু ভাইর অনুপ্রেরণায় আমরা চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা-কর্মীরা অসহায় কৃষকের পাশে দাঁড়িয়েছি। আজকে এক কৃষক ভাইর ধান কেটে দিয়েছি। তিনি বলেন, বোরো মৌসুম শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমরা স্বেচ্ছাশ্রমে অন্যান্য কৃষক ভাইদেরও ধান কেটে দিতে প্রস্তুত রয়েছি।