মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩, ০৫:৫৯ অপরাহ্ন
মো.ওয়াহিদুর রহমান মুরাদ॥ লক্ষ্মীপুরের রায়পুর সহ জেলা জুঁড়ে আমের মুকুলে ছেয়ে গেছে গাছ, সোনালি হলুদ রঙের আমের মুকুলের মনকাড়া ঘ্রাণ। মৌমাছির দল ঘুরে বেড়াচ্ছে গুনগুন শব্দে। ছোট পাখিরাও মুকুলে বসেছে মনের আনন্দে। এমন দৃশ্যের দেখা মিলেছে লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর, রামগঞ্জ, সদর সহ প্রতিটি এলাকায়। যে কাউকেই কাছে টানবে মুকুলের ঘ্রাণে। প্রকৃতিতে শীতের প্রকোপ এবার কিছুটা কম থাকায় বেশ আগেভাগেই মুকুলে মুকুলে ছেয়ে গেছে রায়পুর শহর থেকে শুরু করে গ্রামের আম বাগানগুলো। থোকা থোকা মুকুলেরভারে ঝুলে পড়েছে আম গাছের ডালপালা। বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা ভালো ফলনের স্বপ্ন বুনছেন। শহরের সবচেয়ে বেশি আম গাছ লক্ষ্য করা যায় হায়দারগঞ্জ, চরবংশী, কেরোয়া, ক্যাম্পেরহাট, উদমারা, চররমনীমোহন, দালাল বাজার, হামছাদী সহ বিভিন্ন এলাকার গাছগুলোতে। কোনো কোনো গাছে গাছে মুকুলের সঙ্গে গুটি আমের দেখাও মিলছে। বাগান মালিকরা আমের ভালো ফলন পেতে ছত্রাকনাশক প্রয়োগসহ বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
চর আবাবিল ইউনিয়নের ক্যাম্পের হাট গ্রামের আম বাগানের মালিক রহিম মিয়া বলেন, বাগানের অধিকাংশ গাছ-ই এরইমধ্যে মুকুলে ছেয়ে গেছে। এবার কুয়াশা কম থাকায় মুকুল ভালোভাবে প্রস্ফুটিত হয়েছে।
সায়েস্তানগর গ্রামের আম চাষি জামাল হোসেন মিয়াজী বলেন, আম বাগানে এবার আগেভাগে মুকুল এসেছে। এখন আমের ভালো ফলন পেতে ছত্রাকনাশক প্রয়োগসহ বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছি।মনের আনন্দে মুকুলে বসেছে চড়ই পাখি।
কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গাছে গাছে এখন প্রচুর আমের মুকুল। বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে এর সুগন্ধ। শহর থেকে গ্রামগঞ্জ সর্বত্র আমগাছ তার মুকুল নিয়ে হলদে রঙ ধারণ করে সেজেছে এক অপরূপ সাজে। গাছে গাছে অজস্র মুকুল দেখে বাম্পার ফলনের আশা করা যাচ্ছে। তারা বলছেন, প্রাকৃতিক কারণেই এবার আগেভাগেই আম গাছে মুকুল এসেছে। পরিচর্যা আর আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে আমের উৎপাদন বাড়ছে।
রায়পুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হোসেন সোরওয়ার্দী জানান, আমের মুকুল আসার আগে-পরে যেমন আবহাওয়ার প্রয়োজন, এ বছর তা বিরাজ করছে। ডিসেম্বরের শেষ থেকে মার্চের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত আম গাছে মুকুল আসার আদর্শ সময়। এ সময়ে মুকুলের প্রধান শত্রু কুয়াশা। এখন পর্যন্ত কুয়াশা কম এবং আকাশে উজ্জ্বল রোদ থাকায় আমের মুকুল সস্পূর্ণ প্রস্ফুটিত হচ্ছে। তিনি জানান,রায়পুর উপজেলার ৩৫০ হেক্টর জমিতে আমের বাগান রয়েছে। রামগঞ্জ, রামগতি, কমলনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের মতো জেলার অন্যান্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর আমের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।