বৃহস্পতিবার, ০১ জুন ২০২৩, ০৭:৪৫ পূর্বাহ্ন
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের দিঘা বাজারের শহীদুল ইসলামের ছেলে ঢাকা থেকে বাড়ি গেছেন। এ জন্য ওই বাড়ি লকডাউন করে দিয়েছেন স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার ও রাজনৈতিক নেতারা। পাশাপাশি আরও দুই বাড়িও লকডাউন করে দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার উপজেলার দিঘা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। ওই দিন রাতে শহীদুলের বাড়িতে ঢিল ছোড়া হয়েছে। কে ঢিল ছুড়েছে শহীদুল তা বলতে পারেননি। ভয়ে আতঙ্কে তারা ৩ দিন ধরে বাড়ির বাইরের দরজা বন্ধ করে ভেতরে চুপ করে রয়েছেন। শহীদুল ইসলামে বাড়ি থেকে মুরগি বিক্রি করেন। তিনি ফোনে জানান, তার ছেলে ঢাকা থেকে বাড়ি এসেছে। স্থানীয় কেউ ছড়িয়ে দিয়েছে তার ছেলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। তারপর স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার ও রাজনৈতিক নেতারা তার বাড়ি লকডাউন করে দিয়েছে। শুধু তার বাড়ি নয়, তার জামাই এবং ভায়রার বাড়িও লকডাউন করে দেয়া হয়েছে। শহীদুল মোবাইলে জানান, তার ছেলে ডুয়েটে পড়াশোনা করে। ছুটির কারণে সে বাড়িতে এসেছে। গত মঙ্গলবার তার একটু জ্বর-জ্বর মনে হয়েছিল। সে দিঘা বাজারে একটি ওষুধের দোকানে ওষুধ আনতে গিয়েছিল।
তিনি জানান, তারপর তার বাড়িতে বাউসা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, মেম্বার, স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এসে বাড়ির ভেতরে থাকার নির্দেশ দেন। তার জামাইয়ের দিঘা বাজারে একটি ওষুধের দোকান আছে। তার বাড়ি দিঘা হাজিপাড়া। তাকেও বাড়ির বাইরে না আসার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তার ভায়রার বাড়ি দিঘা পশ্চিমপাড়া। তাকেও বাড়ির বাইরে বের না হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ওই দিনই মসজিদের মাইক থেকে চৌকিদার ঘোষণা দেন, শহীদুলের ছেলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। তারা যেন বাড়ির বাইরে না আসতে পারে। তার বাড়ি লকডাউন করে দেয়া হয়েছে। এ কথা শুনে তার ছেলে কান্নাকাটি শুরু করেন। তার তেমন কিছুই হয়নি। এর পরে সরকারি ডাক্তার এসে দেখে গেছেন। তার ছেলের গায়ে জ্বর নেই। তারপরও তারা বাড়ির বাইরে বের হতে পারছে না। শহীদুল আরও বলেন, আমি বাড়ি থেকেই মুরগি বিক্রি করি। গত ১৭ মার্চ থেকে মুরগি বিক্রি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
ল/আ, যুগান্তর