রায়পুর উপজেলার চরবংশীর ৮নং ও ২নং ইউনিয়নের সেই সব ছিন্নমূল হতদরিদ্রদের দোরগোড়ায় যেখানে এর আগে কখনোই সরকারি কিংবা বেসরকারি কোন উপায়েই কোন ত্রাণ পৌঁছায় নাই সেখানে মধ্যরাতে খাবার নিয়ে ঘুম ভেঙে খাবার নিলো চরাঞ্চলের হতদরিদ্র বাসিন্দারা।
দূর্গম চরখ্যাত জালিয়ার চর, কাছিয়ার চর আশ্রায়ন ও আবাসন প্রকল্পের হতদরিদ্র ৬৭টি পরিবারের দ্বারে দ্বারে রাতের অন্ধকারে পৌঁছে দিতে হাজির হয় ‘ভ্রাম্যমাণ ত্রাণ সহায়তা’। পথের মধ্যে দেখা মেলে বয়োবৃদ্ধ এক পানওয়ালা ও এক খুচরা সবজিওয়ালার সাথে যারা কিনা সরকারি কোন সহায়তাই এ যাবৎ পায়নি। তুলে দেয়া হয় ত্রাণের সহায়তা অভিমানী এই দুই বয়োবৃদ্ধের হাতে। একজন পঙ্গু ব্যক্তি এবং প্রতিবন্ধী এক শিশুকেও দেয়া হয় খাদ্য সহায়তা । সরকারি ত্রাণ পেয়ে অবাক দৃষ্টিতে স্তব্ধ এই দুইজন অসহায় পথচারী।
মধ্যরাতে ত্রাণ নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা জানিয়ে রায়পুর ইউএনও সাবরীন চৌধুরী বলেন,অনেক কষ্ট হয়েছে সত্যি, একজন নারীর জন্য আরো কঠিন। কিন্তুু মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ পালনে সচেষ্ট। তবে যারা ত্রাণ পেয়েছে তারা সত্যিকারেই হতদরিদ্র। এদের হাতে ত্রাণ তুলে দিতে পারায় সত্যি সকল ক্লান্তির অবসান, অসহায় এই হতদরিদ্রদের আত্মতুষ্টির অন্তরালে। অসহায়-ছিন্নমূল-হতদরিদ্রদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।