মাদারীপুরে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে কোন ব্যক্তি করোনা ভাইরাসে শনাক্ত হয় নাই। এছাড়া নতুন করে কাউকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয় নাই এবং কোন ব্যক্তির হোম কোয়ারেন্টাইন শেষও হয়নি। গত ৩ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত ২৮৮ জনের নমুনা করোনা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। যার মধ্যে ২১৭ জনের রিপোর্ট পাওয়া গেছে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মাদারীপুরে আজ নতুন করে কোন করোনা রোগী শনাক্ত না হওয়ায় করোনা ভাইরাসে শনাক্ত সংখ্যা এ পর্যন্ত ২৫-জনে রয়েছে। মাদারীপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের পরিসংখ্যানবিদ মীর রিয়াজ আহমেদ জানান, গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে কাউকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয় নাই এবং কোন ব্যক্তির হোম কোয়ারেন্টাইন শেষও হয়নি। তবে একজন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৮ জন। এর মধ্যে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ৫ জন, কালকিনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১ জন এবং রাজৈর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২ জন রয়েছে। এছাড়া শিবচরে উপজেলার চিকিৎসক ও তার সন্তান হোম আইসোলেশনে রয়েছন।
তিনি আরও জানান, মাদারীপুর থেকে ৩ এপ্রিল থেকে আজ পর্যন্ত ২৮৮ জনের নমুনা করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। যার মধ্যে ২১৭ জনের রিপোর্ট পাওয়া গেছে। নতুন শনাক্ত না থাকায় মাদারীপুর জেলায় মোট আক্রান্ত সংখ্যা পূর্বের ২৫ জনই রয়েছে। এর মধ্যে শিবচর উপজেলার ১৭ জন ও সদর উপজেলায় ৫ জন, রাজৈর উপজেলায় ২ জন এবং কালকিনি ১ জন। আজও মাদারীপুর জেলা লকডাউন চলছে। তবে সকাল ০৬ টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকান খোলা রয়েছে।তাছাড়াও ঔষধের দোকানপাট খোলা থাকবে ২৪ ঘন্টা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সারাদেশকে করোনা ভাইরাস সংক্রমন বিস্তার ঝুকিপূর্ণ ঘোষণা করায় সন্ধ্যায় ৬টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত ঘর থেকে বের হওয়া নিষিদ্ধ রয়েছে। মাদারীপুর প্রশাসন, পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগসহ করোনা প্রতিরোধ কমিটি সচেষ্ট রয়েছে মাদারীপুরের করোনা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য। পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী শহরসহ গ্রামেও মানুষকে ঘরে ফেরাতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়াও মাদারীপুর জেলায় লকডাউন কার্যকর হওয়ায় প্রশাসন আরও কঠোর অবস্থানে রয়েছে। কাউকে বিনাপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের না হতে অনুরোধ করেছেন জেলা প্রশাসন ।
মোঃ ইব্রাহীম রহমান, মাদারীপুর