
৩০মার্চ সকালে কেশবপুর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়নে ১ হাজার দুস্থ পরিবারের মাঝে চাল, ডাল, পেঁয়াজ ও লবণ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুসরাত জাহান সাংবাদিকদের জানান, যেসব শ্রমজীবী মানুষ বাড়ির বাইরে বের হয়ে শ্রম বিক্রি করতে পারছেন না, এরকম এক হাজার পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে দশ কেজি চাল, এক কেজি ডাল, এক কেজি পেঁয়াজ, এক কেজি লবণ এবং এক কেজি আলুর প্যাকেট বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন ট্যাগ অফিসার, সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যান, ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও গ্রামপুলিশ। ইউএনও আরো জানান উপজেলার বিভিন্ন রাস্তা, হাট ও বাজারে জীবাণুনাশক স্পে ছাটাচ্ছে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ।
অপরদিকে পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডে সকাল থেকে ট্যাগ অফিসার কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মনির হোসেনের তত্ত্বাবধানে ছিন্নমূল মানুষের মাঝে সরকারি সাহায্যের প্যাকেট বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়।সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ সরকারি চালের প্যাকেট পেয়ে দারুণ খুশি ও খুবই উপকার হলো। কারণ, আজ চারদিন বেকার বসেছিলাম।’
কেশবপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, সোমবার উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৯০ প্যাকেট সাহায্য পাওয়া গেছে; যা ট্যাগ অফিসারের মাধ্যমে দুস্থদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো জানান, পৌরসভার নিজস্ব তহবিল থেকে ছিন্নমূল মানুষের জন্য ৭০০টি প্যাকেট তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি প্যাকেটে রয়েছে পাঁচ কেজি চাল, এক কেজি ডাল, এক কেজি লবণ, এক কেজি আলু ও ৫০০ গ্রাম সয়াবিন তেল। করোনাভাইরাস রোধে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পৌর এলাকায় এডিস মশার ডিম নিধনে প্রতি ওয়ার্ডে কীটনাশক স্প্রে করা হচ্ছে।
মেয়র বলেন, ‘কেশবপুর পৌর এলাকায় কোনো মানুষের খাদ্যাভাব থাকবে না। যে কেউ আমাকে সংবাদ দিলে সাথে সাথে যার চাল-ডালের প্রয়োজন তার বাড়িতে পৌরসভার পক্ষ থেকে বাজার পৌঁছে দেওয়া হবে