লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার হায়দারগঞ্জে বাজারের উত্তরে কাঠের পোল সংলগ্ন মোসলেম জমাদার বাড়ির পাশের খাঁন বাড়িতে করোনার রোগী সন্দেহে সেনাবাহিনীর সদস্যরা নারায়ণগঞ্জ থেকে ফেরা একজন ব্যক্তির বাড়িটি লকডাউন করে দিয়েছে রাতে কিছুক্ষন আগে। লক ডাউন করার কারনে এলাকা জুড়ে আতংক বিরাজ করছে। নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা জেলা লকডাউনের পর চাঁদপুর হয়ে শত শত সেসব জেলার কর্মরত লোকজন লক্ষ্মীপুর জেলায় প্রবেশ করে। ডেঞ্জারাস জোন হিসেবে পরিচিত এসব জেলার লোকজন করোনা সংস্পর্শে থাকতে পারে বলে এলাকাবাসীর ধারণা। এদিকে উদমারা এলাকার দুই ব্যক্তির রেজাল্ট এখনো আসেনি বলে নিশ্চিত করেছেন ইউএইচএফপিও ডাঃজাকির হোসেন।
এদিকে ৮নং ইউনিয়ন হতে জনৈক ব্যক্তি ৩৩৩ তে এসএমএস করেছিল ত্রাণের জন্য। রায়পুর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকালে ত্রাণ সহায়তা দিতে গিয়ে জানতে পারেন তার নিজের জন্য নহে, একটি বাড়ির ২৫-৩০ অসচ্ছলদের জন্য আরেকজন এসএমএস করেছিলেন বলেন ইউএনও সাবরীন চৌধুরী। তবে সেই বাড়ি সরেজমিনে পরিদর্শন করে তালিকা প্রনয়ণ করে ত্রাণ দিবেন বলে জানান তিনি। এছাড়াও ০৪নং সোনাপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড এর জনৈক ব্যক্তি ৩৩৩ তে এসএমএস করেছে ত্রাণের জন্য। সে প্রকৃত অর্থেই অসচ্ছল (একজন রিক্সা চালক)। ইতোমধ্যে তার বাড়িতে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেন এই নারী কর্মকর্তা।
হতদরিদ্র, মধ্যবৃত্তদের নাম, পরিচয় প্রকাশ না করে সহযোগিতা করার বিষয়ে রায়পুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবরীন চৌধুরী বলেন, ৩৩৩ তে প্রকৃত অস্বচ্ছল একজন ব্যক্তি যিনি খাবারের অভাবে আছেন দয়া করে কেবলমাত্র তিনিই খবর দিতে পারেন। তবে সকলের অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, পৌর এবং ইউনিয়নভিত্তিক অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে, দয়া করে সবাই সংশ্লিষ্ট পৌর মেয়র বা কাউন্সিলর এবং ইউনিয়ন এর ক্ষেত্রে ইউপি চেয়ারম্যান বা সদস্যের কাছে গিয়ে (অগ্রাধিকার ভিত্তিতে) নাম তালিকাভুক্ত করুন।
মো.ওয়াহিদুর রহমান মুরাদ, রায়পুর।