করোনা ভাইরাস বিশ্বের প্রায় ২১০ টি দেশে সংক্রামিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশও ইতিমধ্যে শতাধিক ছাড়িয়াছে মারা যাওয়ার সংখ্যা।এই মরণঘাতী ছোঁয়াছে রোগ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৩ হাজার মানুষ। ইতিমধ্যে ঢাকা,নারায়ণগঞ্জ,গাজীপুরের ন্যায় লকঢাউন কুমিল্লা জেলাও।এতে করে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কেনাকাটা বা জরুরী কাজ ছাড়া বাড়ির বাহিরে যাওয়া নিষিদ্ধ করেছে প্রশাসন।
কিন্তু প্রশাসনের আদেশ তোয়াক্কা করেই বরুড়া বাজারে জরুরী নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্য ছাড়াও দোকানের সাটার অর্ধেক রেখেই হরহামেশাই চলছে রড-সিমেন্ট,হার্ডওয়ার,টিন,সেনিটারী,কসমেটিক,ক্লথ,চা-পান দোকান সহ প্রায় সকল দোকানই।প্রশাসনের অদেশ অনুযায়ী মাছ-তরকারি বাজার (নতুন গরু বাজার) উখানে থাকলেও মানুষের মাঝে নেই কোন সামাজিক দূরত্ব।যে যার মত দোকানের পসরা সাজিয়ে বসেছে দোকানীরা।বাজারে মানুষের ভীড় দেখা গিছে বিভিন্ন বড় বড় মুদি,ঔষধ দোকানগুলোতে।সরকারি ব্যাংক গুলোর সামনে গ্রাহকদের উপছে পড়া ভীড়। সেখানেও মানছে না সামাজিক দূরত্ব বা মাস্ক ব্যবহার।যানবাহনের চাপে নিত্যকার চাহিদার মতোই মাঝে মাঝে লেগে যাচ্ছে জ্যাম। বাজারের এক চা দোকানদার জানান,অনেক দিন যাবত দোকান বন্ধ,বাড়িতে পরিবার নিয়ে চলতে কষ্ট হচ্ছে, সামনে আসছে রমজান, পেটেই দায়েই আমরা দোকান খোলতে বাধ্য হইতেছি।
বাজারের এই সামগ্রিক ব্যাপারে জানার জন্য বরুড়া থানা অফিসার ইনচার্জ এর মোবাইলে ফোন দিলে ওসি তদন্ত ইকবাল বাহার বলেন,বরুড়া বাজারে জরুরী প্রয়োজনীয় দোকান গুলো ছাড়া অন্য দোকান খোলা আছে কিনা আমার জানা নেই, অভিযোগ পেলে আমরা থানা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নিবো।
ফয়সাল রহমান ভুঁইয়া