প্রশাসনের অভিযানের পরেও দিন দিন অস্থির হয়ে উঠেছে লক্ষ্মীপুরের চালের বাজার। করোনা বিপর্যয়কে পুঁজি করে কারণ ছাড়া চালের দাম ক্রমান্বয়ে বাড়াচ্ছে ব্যবসায়ীরা।
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে বাজারে চালের সরবরাহ কমিয়ে কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ খুচরা ব্যবসায়ীদের। তারা বলছেন, করোনাভাইরাস আতঙ্ক কাজে লাগিয়ে বড় ব্যবসায়ীরা এ সংকট তৈরি করেছেন। এতে করে উপজেলায় মোটা ও চিকন সব ধরনের চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ১৫ থেকে ১৮ টাকা।
বিশেষ কোনো কারণ বা অজুহাত ছাড়াই প্রকারভেদে বস্তাপ্রতি দাম বেড়েছে ২শ থেকে সাড়ে ৫শ টাকা পর্যন্ত। বিক্রেতারা বলছেন, গত দুই/তিন দিন ধরে বাড়তি দাম রাখছেন মিল মালিকরা। এ কারণে দাম কিছুটা বাড়তি। আর ক্রেতারা বলছেন, এক সপ্তাহের মধ্যে দুই ধাপে চালের দাম বাড়লেও এ নিয়ে কোনো তদারকি নেই বানিজ্য ও খাদ্য মন্ত্রনালয়ের অধীনে লক্ষ্মীপুুের কোন কর্মকর্তাদের।
লক্ষ্মীপুর জেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরায় বস্তাপ্রতি চালের দর বেড়েছে ২শ থেকে সাড়ে ৫শ টাকা পর্যন্ত। তবে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে চিনিগুঁড়া বা পোলাও চালের দর। কেজিপ্রতি চিনিগুঁড়া চালের দাম বেড়েছে ১৫ টাকা পর্যন্ত। এসব বাজারে এক সপ্তাহ আগে প্রতিবস্তা (৫০ কেজি) চিনিগুঁড়া চাল বিক্রি হয়েছে ৪ হাজার ৫শ থেকে ৪৭শ টাকার মধ্যে। মাত্র তিনদিনের ব্যবধানে চিনিগুঁড়া চাল বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৫ হাজার থেকে ৫ হাজার ২৫০ টাকায়।
অন্যদিকে মাত্র তিনদিন আগে খুচরা বাজারে প্রতিবস্তা মিনিকেট চাল বিক্রি হয়েছে ২২শ টাকা, আটাশ চাল ১৭শ টাকা, বিভিন্ন প্রকার নাজির চাল প্রতিবস্তা ২১শ টাকা থেকে ২৮শ টাকায়। বর্তমানে রাজধানীর বাজারে প্রতিবস্তা মিনিকেট (নতুন) চাল বিক্রি হচ্ছে ২৪শ ৫০ টাকা, মিনিকেট (পুরনো) ২৫শ থেকে ২৫শ ৫০ টাকা, আটাশ চাল ১৮শ ৫০ টাকা, বিভিন্ন প্রকার নাজির চাল প্রতিবস্তা বিক্রি হচ্ছে ২২শ ৫০ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকায়।
হঠাৎ করে চালের দাম বাড়া নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে ক্রেতাদের মধ্যে। আর বিক্রেতারা বলছেন, মিলকল মালিকরা চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। মিল থেকে বাড়তি দামে চাল কেনায় তাদের বাড়তি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।
রায়পুর মধ্য বাজারের চাল ব্যবসায়ী রবিন ভূঁইয়া বলেন,‘নওগাঁ, জয়পুরহাট, নাটোর ও কুষ্টিয়া থেকে চাল সেভাবে আসছে না। যা আসছে তারও দাম বেশি। তাই বেশি দাম দিয়েই কিনতে হচ্ছে আমাদের।’ তাছাড়া গত দুই দিন গাড়ীও আসছেনা। একই বক্তব্য আরেক চাল ব্যবসায়ী আলী আহাম্মেদের। তিনি বলেন, ‘দেশের চালের সবচেয়ে বড় মোকাম নওগাঁ ও কুষ্টিয়ায়। এই দুই মোকাম থেকে চাল আসা কমে গেলে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে রায়পুরে চালের বাজারে। গত দুই দিনের বেশি সময় চালের স্বাভাবিক সরবরাহ আসছে না। এ কারণে রায়পুরে চালের দাম বেড়েছে।’
রায়পর বাজার বণিক সমিতির সভাপতি শফিক পাঠান বলেন, ‘করোনাকে পুঁজি করে শহরের কয়েকজন ব্যবসায়ী কাউকে তোয়াক্কা নাা করে তাদের ইচ্ছে মত দাম হাঁকিয়ে চালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য বিক্রি করছে। প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমি অনুরোধ জানাই।
হায়দারগঞ্জ চাল বিক্রেতা লিয়াকত আলী জানান, হঠাৎ করে মিল মালিকরা চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। তাই বেশি দামে চাল কিনে বেশি দামে চাল বিক্রি করতে হচ্ছে তাদের। কৃষকের ঘরের ধান এখন মজুদ রয়েছে মিল মালিকদের কাছে। কৃষকের ঘরে ধান ফুরিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গেই বাজারে ধানের দাম বাড়তে শুরু করেছে। তিনি জানান, কৃষকের লাভ এখন ভোগ করবে মিল মালিকরা। বাজারে হঠাৎ চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে নিম্ন ও মধ্যবৃত্ত আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। নির্দিষ্ট আয় দিয়ে বাড়তি দামে চাল কিনে খেতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। বাজারে চাল কিনতে আসা মনসুর আলী জানান, চালের দাম বাড়ায় নির্দিষ্ট আয় দিয়ে চাল কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাকে।
সোমবার চন্দ্রগঞ্জ থানার তানভীর আহমেদ রিমন নামে একজন ক্রেতা জানান, কিছুদিন সরকারের তৎপরতায় চালের দাম হাতের নাগালে ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে দাম ফের বাড়তে শুরু করেছে। আমরা পড়েছি বেকায়দায়। সরকারের উচিত দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া। মিলারদের কারসাজিতে ফের অস্থির চালের বাজার। গত বছর নভেম্বরেও চালের দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠেছিল। পরে খাদ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মিল মালিকদের দফায় দফায় বৈঠকের পর দাম কমে আসে। কিছুদিন নিশ্চুপ থাকার পর চলতি বছরের শুরুতে মিলাররা ফের তৎপর হয়ে ওঠায় বাড়তে শুরু করেছে চালের দাম। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন ভিন্ন কথা। তারা দুষছেন মিলকল মালিকদের। তাদের মতে, বাজারে চালের বিক্রি কম হলেও অযৌক্তিকভাবে দাম বাড়ানো হয়েছে চালের। তাছাড়া বিভিন্ন নতুন চাল বাজারে আসতে শুরু করেছে। এ অবস্থায় দাম বাড়ানোর কোনো যুক্তি নেই।
রামগঞ্জের স্থানীয় সাংবাদিক ও দেশ রুপান্তর এর জেলা প্রতিনিধি মাহমুদ ফারুক বলেন, এখন ব্যবসায়ীরা সব পণ্যের দর-দাম ঠিক করে দেন। আমরা বাধ্য হয়েই তাদের থেকে মালামাল সংগ্রহ করি। মাত্র চারদিন আগে যে চাল ৪০ টাকা কেজি দরে কিনেছি আজ সেটার দাম হয়ে গেলো ৫০ টাকা। এ যেন মগের মুল্লুক!
একই অভিব্যক্তি জানালেন রায়পুর বাজারের ক্রেতা রায়পুর এলএম মডেল পাইলট স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাহাবুবুর রহমানেরও তিনি বলেন, এ নিয়ে এক মাসের মধ্যে দু’বার চালের দাম বাড়লো। সরকারিভাবে বাজার তদারকি না করলে শুধু চাল কেনো সব কিছুর মূল্য নিয়ন্ত্রণ চলে যাবে ব্যবসায়ীদের হাতে। যখন প্রথমে দাম বাড়ানো হলো সে সময়েই পদক্ষেপ নেওয়া হলে আজ আবার দাম বাড়তো না। স্থানীয় প্রশাসনের একা অভিযানে ব্যবসায়ীরা কিছুই হচ্ছেনা ডাকাত ব্যবসায়ীদের।
করোনার তাপমাত্রার সাথে সাথে চালের ‘জ্বর’ বাড়তে শুরু করেছে লক্ষ্মীপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলার গ্রামে গ্রামেও। পৌর ১নং ওয়ার্ডের খুচরা ব্যবসায়ী মিঠু বলেন, প্রথমে মনে হয়েছিল লকডাউনে রাস্তা রুখে দেওয়ায় ট্রাক পরিবহন সাময়িক বন্ধ ছিল, এ কারণে সরবরাহের শিকলে টান পড়েছে। পরে জানলাম উন্মুক্ত চলাচল । সবকিছু কবজায়। কিন্তু চলাচলে উন্মুক্তের পরেও চালের দাম বাড়ছে। কদিন আগে আমন ধানে বাজার সয়লাব হয়েছিল। আবহাওয়া বিরূপ না থাকায় বাম্পার ফলন ছিল। কিন্তু চাষি ধানের দাম পাননি। হাটে হাটে ঘুরেও চালান ওঠেনি তাহলে চালের দাম বেড়েছে কি ভাবে প্রশ্ন রাখেন তিনি। এক মণ ধান ফলাতে কৃষকের কমবেশি ৮০০ টাকা খরচ হয়। বাজার অর্থনীতিতে বাজার চলে বাজারের গতিতে। যেমন ‘আইন চলে আইনের গতিতে’। দুষ্ট লোকেরা যদিও বলেন, এমন অনেক দেশ আছে, যেখানে আইন চলে পুলিশের হাত ধরে, যেমন পুঁজিবাদী বাজার চলে পুঁজির হাত ধরে। আমাদের ধান–চালের পুঁজির মালিক আড়তদার, পাইকার আর তাঁদের রাজনৈতিক দোসররা। ফলে তাঁদের হাতেই বাজার
এ বিষয়ে ঢাকার একজন চাল বিক্রেতা ও সিরাজ অ্যান্ড সন্সের সত্বাধিকারী খোকন বলেন, তিন/চার দিনের ব্যবধানে চালের দাম বস্তাপ্রতি ২শ থেকে ৫শ ৫০ টাকা বেড়েছে। এখন চালের বিক্রি কম হলেও মিলকল মালিকরা এ দাম বাড়িয়েছেন। সেখান থেকে বেশি দামে চাল কেনায় আমাদের বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে মিল মালিকরা চালের দাম কমালে আমাদের এখানেও দাম কমে আসবে।
লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদের সদস্য মামুন বিন জাকারিয়া চালের বাজার অস্থিরতা নিয়ে বলেন, কথিত বাজার অর্থনীতির উৎপাত সামলানোর কোমরের জোর কৃষকদের নেই। মাড়াইয়ের সঙ্গে সঙ্গে ধান বেচতে না পারলে তাঁদের ভাত জোটে না। যে ধারদেনা করে তাঁরা জমি বর্গা রাখেন, সার নেন, বীজ, কলের লাঙল, পানি, নিড়ানি কীটনাশকের দাম মেটান; তা সুদে-আসলে শোধ করতে হয় ফসল ওঠার সঙ্গে সঙ্গে। এই সহজ হিসাবটা ধানের মূল ক্রেতা আড়তদার-পাইকারেরা জানেন বলেই ধান উঠলে তাঁরা হাত গুটিয়ে নেন। চাষি বাধ্য হন কম দামে ধান ছেড়ে দিতে। লোকসানি দামে না বেচে হাট থেকে ধান বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার মতো গাড়িভাড়াও তাঁর থাকে না। তাঁকে আড়তদারের হাওলায় রেখে যেতে হয় রক্ত-ঘামে ভেজা ধান। এসব কি শুধুই ভবিতব্য ভাগ্যের লিখন, না এর মধ্যে কোনো কারসাজি আছে? লোকসানি দামে ধান বেচে বেশি দামে চাল কিনতে হবে কেন কৃষককে? দেশের সব প্রান্তে একই সঙ্গে একইভাবে হঠাৎ কেন দাম বাড়বে চালের? ভালো ফসলের রেকর্ড আর যথেষ্ট আমদানি মজুত থাকার পরও এবার দাম বাড়া শুরু হয়েছে স্বাভাবিক সময়ের অনেক আগে। আড়তদার, পাইকার বলেছেন নাকি পাইকারি ব্যবসায়ীদের ধরে ধরে বিক্রি করতে, বাজারে টান আছে। তার মানে দাম আরও বাড়বে। কৃষিতে ভর্তুকির কথা বেতার, তার, কাগজে, টিভিতে আর বাজেট বক্তৃতায় হামেশাই শোনা যায়। কিন্তু এর কতটুকু আসল চাষির কাছে পৌঁছায় তার হিসাব কেউ দিতে পারবে কি? বেচার সময় দাম না পাওয়া চাষি চাল কেনার সময় কোনো ভর্তুকি পান কি? আসল চাষির তো বলতে গেলে জমিই নেই। তিনি জমি নেন নগদ টাকায় সনভিত্তিক বরাদ্দ। জমির মালিকের হাতে আগাম টাকা না দিলে জমি তিনি পান না। তেভাগার দিন এখন জাদুঘরে। ফসল হোক না হোক, জমির মালিকের হক তাঁকে আগাম আদায় করতে হয়। আবার ভর্তুকি, সহজ শর্তের ঋণ, সার, বীজ, অনুদান সহযোগিতা সবই যায় জমির মালিকের কাছে। যাঁর জমি নেই কিন্তু হাড়ভাঙা পরিশ্রমে চাষ করেন, তাঁকে দেখার কোনো চশমা নেই সিদ্ধান্তের মালিকদের কাছে।
জেলা কৃষি বিপনন কর্মকর্তা মনির হোসেন বলেন, হঠাৎ করে চালের দাম বাড়া অযৌক্তিক। কারণ দেশে চালের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। ধানেরও বাম্পার ফলন হয়েছে। তাই সরকার ও সংশ্লিষ্টদের এর কারণ অনুসন্ধান করতে হবে। দাম যেন আর না বাড়ে সেই ব্যবস্থা নেয়া দরকার।এছাড়া বাজারে সবচেয়ে বেশি চালের চাহিদা রয়েছে বিআর-২৮ ও মিনিকেট জাতের চালে। আর এ জাতের ধানের উৎপাদন হয় এপ্রিলের দিকে। এ সময় এই জাতের ধান না পাওয়ায় চালের দাম বেড়েছে।মিল মালিকরা বলছে তাদের কাছে চাল নেই। চাহিদামতো অর্ডার করলে চাল দেয়া যাবে না। তবে পরক্ষণেই তারা একটি রেট (দাম) জানিয়ে দেয়। বলে এই দামেই নিতে হবে। কারণ ধানের দাম বেশি, তিনি বলেন, এসব তাদের মনগড়া কথা। কারণ দেশে চালের কোনো ঘাটতি নেই। এবার চালের বাম্পার ফলন হয়েছে। মিলাররাই বাড়তি মুনাফার আশায় পাইকারি থেকে খুচরা বিক্রেতা ও ভোক্তাকে জিম্মি করে বেশি টাকা আদায় করছে। দেশে যে পরিমাণ চাল আছে তাতে চালের দাম বাড়ার কথা নয়। তিনি বলেন, ৫ দিনের ব্যবধানে ৫০ কেজির বস্তায় সর্বোচ্চ ২০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। যে মিনিকেট চাল মিল মালিকদের কাছ থেকে ৫ দিন আগে প্রতি বস্তা ২১০০ টাকা করে আনতাম। তা এখন ২৩০০ টাকায় আনতে হচ্ছে। সব শেষে ভোক্তারাই বেশি দাম দিয়ে চাল কিনছে। মিল পর্যায় থেকে শুরু করে পাইকারি ও খুচরা বাজারে নিয়মিত মনিটরিং করতে হবে। তাহলেই মিলারদের কারসাজি ধরা পড়বে। তিনি বলেন, গত বছরের শেষের দিকে হঠাৎ চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছিল মিল মালিকরা। সে সময় খাদ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মিলারদের কয়েক দফায় বৈঠক হয়। পরে মিলাররা চালের দাম কমায়। রায়পুুুরের ইউএনও অভিযান পরিচালনা করছেন।
চালের বাজার অস্থিরতার বিষয় লক্ষ্মীপুরে ভূমিকা কি জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কাছে প্রশ্ন ছিলো, তিনি মুঠোফোনে বলেন, হঠাৎ করে চালের দাম বেড়েছে। সারা দেশের মিল থেকে শুরু করে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে বিশেষভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে। অসাধু উপায়ে দাম বাড়ালে ভোক্তা আইনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।এক সপ্তাহ আগে প্রতিবস্তা (৫০ কেজি) মিনিকেট চাল বিক্রি হতো ২ হাজার টাকা থেকে ২ হাজার ৫০ টাকায়, বিআর-২৮ চাল বিক্রি হতো ১ হাজার ৮শ’ টাকায়, সুমন স্বর্ণ চাল বিক্রি হতো ১ হাজার ২শ’ টাকায় এবং গুটি স্বর্ণ চাল বিক্রি হতো ১ হাজার ২শ’ টাকা থেকে ১ হাজার ২৫০ টাকা। হুট করে চালের বাজার অস্থির। আমরা জেলায় জেলায় খতিয়ে দেখছি বিষয়টি।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল বলেন,‘চালের কোথাও কোনও সংকট হওয়ার কথা নয়। নতুন ধানও উঠবে কয়েকদিন পরে।’ কেউ কৃত্রিম সংকট তৈরি করলে তার বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।