শনিবার, ০৩ জুন ২০২৩, ০৪:৩৮ পূর্বাহ্ন
শৃঙ্খলিত লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক কার্যক্রমকে বিশৃঙ্খল ও বিতর্কিত করার অপ উদ্যেশ্যে ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম পাবেল ও অর্থ সম্পাদক কামাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করায় ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় বইছে লক্ষ্মীপুরের সাংবাদিক মহলে। এ ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (০১ আগষ্ট) সকালে লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের হলরুমে ক্লাব সভাপতি কামাল উদ্দিন হাওলাদারের সভাপতিত্বে এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। ক্লাবের অর্ধশতাধিক সদস্যের অংশ গ্রহণে সর্বস্মতিক্রমে উক্ত ঘটনার নিন্দা প্রস্তাব গৃহিত হয়। এতে করে ওই দুই সাংবাদিক নেতার সম্মানহানি, কর্মরত প্রতিষ্ঠান ও প্রেসক্লাবের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে বলে মনে করছেন সাংবাদিকরা। অনতিবিলম্বে মিথ্যা অভিযোগ কারীর বিরুদ্ধে ২১১ ধারায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করাসহ দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানান তারা।
জানা যায়, প্রেসক্লাবের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ও অর্থ সম্পাদকের বিরুদ্ধে মারধরের চেষ্টার বানোয়াট অভিযোগ নিয়ে গত ৩১ জুলাই সন্ধ্যায় জনৈক তৌহিদুর রহমান রেজা সদর থানায় একটি জিডি করেন ( জিডি নং ১৩৯২, ৩১ জুলাই ২০১৯ইং)। প্রেসক্লাব বিদ্বেষী স্থানীয় একটি কুচক্রি মহলের ইন্ধনে এ দিন সে পরিকিল্পিতভাবে এ অভিযোগ সৃজন করে বলে জানা যায়। সকাল ১০ টার দিকে প্রেসক্লাবে তাকে মারধরের চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। প্রকৃতপক্ষে উক্ত সময়ে পেশাগত কাজে তারা শহরের বাইরে অবস্থান করছিলেন। বানোয়াট অভিযোগের ঘটনা জানাজানি হলে প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের মাঝে ক্ষোভ ও নিন্দা বিরাজ করছে। ক্লাবের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার জরুরী সভা করা হয়। সভায় উপস্থিত সাংবাদিকরা তাদের পৃথক বক্তব্যে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে উক্ত মামলাবাজ অভিযোগকারীসহ কুচক্রীমহলকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশ সুপারের সহযোগিতা কামনা করেন। তা না হলে সাংবাদিকরা কঠোর আন্দোলনে নামার ঘোষণা দেন।
প্রেসক্লাব সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, সৃজিত অভিযোগের সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য উদঘাটন করে পুলিশ নিজেদের স্বচ্ছতার স্বাক্ষর রাখবেন বলে আমরা আশা করছি। নচেৎ সাংবাদিক সমাজসহ পুরো লক্ষ্মীপুর ও দেশবাসীর কাছে পুলিশ বিতর্কিত হয়ে উঠবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এদিকে প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে বানোয়াট অভিযোগের খবর শুনে জেলার সুদি সমাজসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার নেতৃবৃন্দ নিন্দা জানান।
সাংবাদিক নেতাদের বিরুদ্ধে জিডির বিষয়টি জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার ড. এ এইচ কামরুজ্জামান বলেন, ঘটনাটির প্রকৃত সত্য উদঘাটনে তদন্ত কার্যক্রমে তার তদারকি থাকবে বলে জানান।