শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:৩৭ পূর্বাহ্ন
সাতক্ষীরায় করোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় সামাজিক দূরত্ব না মেনে অহেতুক ঘোরাঘুরি করায় ৫৪জনকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে টহল জোরদার করেছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ। এছাড়া জনসমাগম কমাতে সন্ধ্যা ৬টার পরে ওষুধের দোকান ব্যতীত সব ধরনের দোকান বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন।
এদিকে, কর্মহীন হয়ে পড়া খেটে খাওয়া দুস্থ মানুষের জন্য ইতোমধ্যে ৪২৫ মেট্রিক টন চাল এবং ১৬ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে খাদ্য সামগ্রী। অব্যাহত রয়েছে জীবাণু নাশক স্প্রে। জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামালের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী, পুলিশ এবং ব্যাটালিয়ন আনসার এর সহযোগিতায় ২০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাত-দিনের পার্থক্য ভুলে গিয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিতে দিনরাত কাজ করছে।
একই সাথে সাতটি উপজেলায় সেনাবাহিনীর ৭টি টিমসহ জেলা সদরে পুলিশ এবং আনসারের সমন্বয়ে ৪টি টিম শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। চলছে মাইকিং। জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, প্রতিটি উপজেলায় ইউনিয়ন ভিত্তিক দুস্থ ও সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের বাহিরে থাকা গরীব মানুষের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে।
তালিকা অনুযায়ী বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। এজন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় প্রাপ্ত বরাদ্দ থেকে ইতোমধ্যে জেলার উপজেলা ও পৌরসভার অনুকূলে ৪২৫ মেট্রিক টন চাল এবং ১৬ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া করোনা পরিস্থিতিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ যারা ওয়ার্ড-ইউনিয়ন পর্যায়ে তালিকাভুক্ত হতে সংকোচবোধ করছে কিন্তু খাদ্য সংকট আছেন তাদের নাম, ঠিকানা এবং মোবাইল নাম্বারসহ এসএমএস এর মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসক নিজে তাদের সাথে যোগাযোগ করছেন। রাতে গোপনে তাদের বাড়িতে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে ত্রাণসামগী বিতরণ করা হচ্ছে।
এদিকে, ইতোমধ্যে উপজেলায় বিতরণের জন্য সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২ লক্ষ টাকার মাস্ক ক্রয় করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ২৮ হাজার মাস্ক মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।
-ল/আ/এম এম নায়েম, সাতক্ষীরা