মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩, ০৪:৫৯ অপরাহ্ন

শিরোনাম:
যদি রেকর্ড করে শোনাতে পারতাম-ফারহানা আক্তার দৃষ্টি সাউথ এশিয়া গোল্ডেন পিস এ্যাওয়ার্ড-২০২১ পেলেন শাম্মী তুলতুল লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজে শেখ রাসেল দেয়ালিকা উদ্বোধন লক্ষ্মীপুরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ও ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী আব্দুল মতলব’র ব্যাপক গণসংযোগ রায়পুরে বেদে ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের মাঝে ১৫ লাখ টাকার চেক বিতরণ রায়পুরে নবনির্মিত শহীদ মিনার উদ্বোধন করলেন নুরউদ্দিন চৌধুরী নয়ন এমপি রায়পুর উপজেলা ডিজিটাল সেন্টার উদ্বোধন করেন এড. নয়ন এমপি রায়পুরে করোনা আক্রান্তদের মাঝে অক্সিজেন সিলিন্ডার বিতরণ উদ্বোধন শোক দিবসে লক্ষ্মীপুরে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভা ও দোয়া

এমপি পদ থাকবে কি?

ডেক্স নিউজ / ৪৯৯ পড়া হয়েছে:
প্রকাশের সময়: মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩, ০৪:৫৯ অপরাহ্ন
-কাজি শহীদ ইসলাম পাপুল

অর্থ ও মানব পাচারের মামলায় লক্ষ্মীপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র এমপি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলকে চার বছরের কারাদন্ড দিয়েছে কুয়েতের আদালত। এমন নৈতিক স্খলনজনিত ফৌজদারি অপরাধের দায়ে দন্ড হওয়ার পরও তার সংসদ সদস্য পদ থাকবে কিনা, এটাই এখন প্রশ্ন। আইনজ্ঞরা বলছেন, সংবিধানে নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধে ন্যূনতম দুই বছর সাজায় এমপি পদ খারিজ হওয়ার বিধান রয়েছে। সাজা দেশে হবে, না বিদেশে, তা অস্পষ্ট। পাপুলের সাজা হয়েছে চার বছর। ফলে কুয়েতে সাজা হলেও বাংলাদেশের সংসদে পাপুলের পদ খারিজ হবে বলেই মত তাদের। এ জন্য কুয়েতের আদালতের রায়ের অনুলিপি পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বলেও জানিয়েছেন আইনজ্ঞরা।

সংবিধানে সংসদ সদস্যপদ বাতিল-সংক্রান্ত অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘কোনো ব্যক্তি সংসদের সদস্য নির্বাচিত হইবার এবং সংসদ-সদস্য থাকিবার যোগ্য হইবেন না, যদি কোনো উপযুক্ত আদালত তাকে অপ্রকৃতিস্থ বলিয়া ঘোষণা করেন; তিনি দেউলিয়া ঘোষিত হওয়ার পর যদি দায় হইতে অব্যাহতি লাভ না করেন; তিনি কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব অর্জন করেন কিংবা কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা বা স্বীকার করেন; তিনি নৈতিক স্খলনজনিত কোনো ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে কমপক্ষে দুই বছরের কারাদন্ডে দন্ডিত হন; তিনি যদি প্রজাতন্ত্রের কোনো লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত থাকেন; সংসদের অনুমতি ছাড়া তিনি যদি একাদিক্রমে নব্বই দিন অনুপস্থিত থাকেন।’ কুয়েতে দন্ড হওয়ায় পাপুলের এমপি পদ থাকবে কিনা, এমন প্রশ্নে সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, একজন সংসদ সদস্য যদি ফৌজদারি অপরাধ করেন, সাজা পৃথিবীর যেখানেই হোক, তাহলে তার এমপি পদ থাকবে না। এমপি পদ খারিজের জন্য শুধু প্রমাণ হতে হবে, তিনি ফৌজদারি অপরাধ করেছেন, সেই অপরাধের জন্য তার সাজা হয়েছে। তিনি বলেন, তবে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অবশ্যই কুয়েতের আদালতের রায়ের অনুলিপি পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। জানতে চাইলে সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক বলেন, আমাদের সংবিধানে বলা আছে দুই বছরের অধিক কারাদন্ড হলে সংসদ সদস্য পদ বাতিল হয়ে যাবে। বিচার দেশীয় আইনে হতে হবে কিনা, এখানে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। আমার মত হবে, শাস্তি হওয়া, জেল খাটা কয়েদিকে তো আর কেউ এমপি হিসেবে রাখতে চাইবেন না। তিনি বলেন, এমপি পাপুলের এ বিষয়টি একেবারেই নতুন। এমন প্রশ্ন এর আগে আসেনি। আমি মনে করি, এর ব্যাখ্যা জানতে যদি আদালতে যেতে হয়, তাহলে আদালতও বলবেন, যিনি জেল খেটেছেন, তিনি খারাপ লোক। ফলে তার এমপি পদ থাকতে পারে না। জাতীয় সংসদের স্পিকার ও নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন নিশ্চয়।

Print Friendly, PDF & Email